‘অনেক বছর নদীতে এত পানি হয়নি। এখন তো পানি বাঁধের প্রায় কাছাকাছি দেখছেন, এই পানি অনেক নিচে থাকে। গত কয়েক দিনে নদীতে পানির উচ্চতা অনেক বেড়েছে। পানিও অনেক পরিষ্কার টলমলে।’
শনিবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়ায় শহর রক্ষা বাঁধে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মধ্যবয়সী মোবারক আলী বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছ পানির বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবে।
মোবারক আলী আরও বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও দেশজুড়ে বন্যার কারণে হয়তো বুড়িগঙ্গা নদীর পানি বেড়েছে। নদীতে নৌকা, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, লঞ্চ ও মালবাহী জাহাজ চলাচল এখন বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেরানীগঞ্জ কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দাদের অনেকেই জীবিকার তাগিদে শহরে যাওয়ার জন্য ভাড়ায় চালিত নৌকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু গত কিছুদিন যাবত স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও অনেক মানুষ বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের অনেকেই নৌকায় করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘুরতে আসছেন। দিনের বেলায় অনেকেই দলবেঁধে নদীর পরিষ্কার পানিতে গোসল করছেন। নদীর তীর ঘেঁষে অনেক ভাসমান খাবারের দোকানও বসছে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পানি স্বচ্ছ হওয়ায় আশপাশের এলাকার অনেকেই নৌকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে দল বেঁধে কামরাঙ্গীরচর এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের পাশে বসে গল্প করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বুড়িগঙ্গার তীর ধরে মৃদুমন্দ বাতাসে বাঁধে হাঁটাহাঁটি করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রত্যেককে ঘরের বাইরে গেলে মুখে মাস্ক পরিধান করার পরামর্শ দিলেও নদীর তীরে ঘুরতে আসা মানুষের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। তারা বলছেন, নদীর তীরের বিশুদ্ধ বাতাসে মাস্ক লাগে না।
স্থানীয় এক মাঝি আলাপকালে জানান, অন্যান্য সময় বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে প্রচুর দুর্গন্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমানে পানিতে দুর্গন্ধ নেই, একেবারে শহরের কাছাকাছি ছাড়া এদিকের পানি টলমলে পরিষ্কার। আগের চেয়ে নদীতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন
মুখোমুখি করলেই প্রেম, পেছনে গেলেই শত্রুভাব
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দুইজনই এখন মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে বন্দি। রিমান্ড চলছে তাদের। চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
করোনা টেস্টে জালিয়াতির মামলায় জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার আরিফুল চৌধুরী ও ডা. সাবরিনাকে এরমধ্যে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি করা হয়েছে। কিন্তু মুখোমুখি করলেই তাদের মধ্যে প্রেমভাব উথলে ওঠে বলে জানিয়েছেন ডিবির কর্মকর্তারা।
তদন্তকারীরা বলছেন, দুজনকে যখন আলাদা করা হয়। পুরো অনিয়ম, জালিয়াতিসহ সব অপকর্মের মূল হোতা বা পরিকল্পনার বিষয়টি একে অন্যের উপর দোষ চাপাতে চান আরিফ ও ডা. সাবরিনা।
অথচ তাদের যখন মুখোমুখি সামনা সামনি করে তথ্য জানতে চাওয়া হয়, তখন আগের মতো দোষারোপে ভাবটি আর থাকে না। তাদের দেখে বোঝায় যায় না, কিছুদিন আগেই তাদের গভীর সম্পর্কে ছেদ পড়েছে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, তারা দুজনে মিলে অর্থের প্রলোভন, মিষ্টি কথা দিয়েই অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাদের হাত করেছে।
বিশেষ করে, ডা. সাবরিনা তার ফেসভ্যালু, চিকিৎসক পরিচিতি দিয়ে জেকেজির আরিফুলকে কাজ পাইয়ে দিয়েছে। সুতরাং, যার যার দায়িত্ব যেমন ছিল সেভাবেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
Leave a Reply