গ্রামবাংলা ডেস্ক:
এক সময় বাংলাদেশে দক্ষিণাঞ্চল দাপিয়ে বেড়াতো পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সময়ের পরিক্রমায় সেই বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে শতের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে। তবে এরই মধ্যে গত তিন বছরে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৮টি বাঘ বেড়েছে।
২০১৬ সালে যেখানে বাঘ ছিল ১০৬টি, ২০১৯ সালের মে মাসের জরিপে দেখা যায়, বনে বাঘ বেড়ে ১১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। আজ ২৯ জুলাই, বুধবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। দিন দিন বাঘের সংখ্যা কমতে থাকায় ২০১০ সাল থেকে সারা পৃথিবীজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বাংলাদেশে এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বাঘ বাড়াতে করি পণ, রক্ষা করি সুন্দরবন’।
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে দিবসটি উপলক্ষে সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বন বিভাগ।
সর্বশেষ গত বছরের ২২ মে সম্পন্ন হওয়া জরিপে জানানো হয়, সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাকিং জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হয় বন বিভাগ।
তাদের দাবি, আগের তুলনায় বর্তমানে সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন
ডেস্ক রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ৬ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হচ্ছে। তবে মহামারি পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় সে ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে ইতিমধ্যে সরকারের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন।
সে আলোকে আজ বুধবার (২৯ জুলাই) আরেক দফা ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, আগামী আগস্ট পুরো ছুটি ঘোষণা করে সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সে আলোকে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৬ আগস্ট সে ছুটি শেষ হচ্ছে। ৩১ জুলাই থেকে ঈদুল আযহার ছুটি শুরু হওয়ায় নতুন করে ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা আজই দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অবস্থা তৈরি হয়নি। সেপ্টেম্বরের আগে সেটা নাও হতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিলেবাস ও কারিকুলাম পর্যালোচনা চলছে।
কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস সংক্ষেপ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল সিদ্ধান্ত নেব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তা করা হবে।
বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা বাস্তবায়ন করা হবে। ৬ আগস্টের পর ছুটি বাড়ছে কি না তা ঈদের
আগেই জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের পর না হলেও আগামী সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দায়িত্বশীলরা আশ্বস্ত হন তাহলেই প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে।
আপাতত দুটি পরিকল্পনা রয়েছে। একটি সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়া, অপরটি যে কোনো সময়ে খুলে দেয়া।
Leave a Reply